অনেকেই সকালের নাস্তাকে এড়িয়ে যান। এটি একেবারেই ভুল। সকালের নাস্তা আপনার সারাদিনের খাবারকে সুষম করতে অর্থাৎ খাবারের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কেননা সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উপায় হলো সকালে সঠিকভাবে, সঠিক পরিমাণে, সঠিক সময়ে নাস্তা খাওয়া।
সকালের নাস্তা খেলে আপনি যেমন সুস্থ থাকবেন, তেমনি আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সকালের নাস্তা ঠিকমতো করলে শরীরের বিপাক ভালোভাবে সক্রিয় হয়। আর এভাবে খুব দ্রুত ওজন কমিয়ে রাখা যায়।
সকালের নাস্তা ভালোভাবে করলে সারাদিনের অন্য খাবারগুলোর প্রতি আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকবে। যারা সকালের নাস্তা খায় না, স্বাভাবিকভাবেই তাদের ১১টা /১২টার দিকে ভারি খাবার খেতে দেখা যায়। অথবা তারা হয়তো সরাসরি দুপুরের খাবার খায়। এতে আমাদের শরীর অনেকটা সময় না খাওয়ার কারণে স্টারভেশন মুডে চুলে যায়। তখন আপনি যেই খাবারটিই খাবেন, এটি শরীর প্রয়োজনে সংরক্ষণ করে রাখবে। এতে ওজন ধীরে ধীরে বাড়বে। সুতরাং ওজন কমাতে অবশ্যই আপনি সকালের নাস্তাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
সকালের নাস্তা খেলে শরীরের শক্তি অনেক বেড়ে যায়। এটি আপনাকে সারাদিন কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করবে।
স্কুলের কাজে পারদর্শিতা অনেক বেশি নির্ভর করে সকালের নাস্তার ওপর। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা অনেকেই দেখা যায় নাস্তা না খেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারাই এই কাজটি করে তাদের স্কুলে মনোযোগ অনেক কম থাকে এবং তাদের লেখাপড়ার গুণগত মান ভালো হয় না। তাই শুধু মাত্র শারীরিক সুস্থতার জন্যই নয়, আপনার শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়াতে সকালের নাস্তা অবশ্যই খেতে হবে।
সকালের নাস্তা ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা বা ৯টার মধ্যে শেষ করতে হবে। সকালের নাস্তায় খেতে হবে অনেক বেশি। এটি সারাদিনের প্রতিটি খাবারের তুলনায় বেশি হবে। সুতরাং সকালের নাস্তা অবশ্যই ঠিক মতো খেয়ে বাড়ি থেকে বের হবেন।